আজকে আমরা পড়বো “দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য” সারাংশটি। সারাংশ পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সারাংশটি তোমাদের ভালোভাবে পড়তে হবে।
দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য
দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য। সর্পের মস্তকে মণি আছে বলিয়া সে কি ভয়ংকর নহে? নৈতিক শিক্ষা যেমন অতি প্রয়োজনীয়, তেমনি অতি কঠিন। সুনীতি কাহাকে বলে এবং দুর্নীতি কাহাকে বলে, তাহা নির্ণয় করা প্রায় সহজ, কিন্তু তাহা হইলেও নৈতিক শিক্ষালাভ সুনীতি কি দুর্নীতি তাহা জানিলেই সম্পন্ন হয় না।
কার্যত যাহা সুনীতি, তাহা আচরণ করা ও যাহা দুর্নীতি তাহা পরিহার করাই নৈতিক শিক্ষার লক্ষণ। কারণ এইরূপ কাজ করিতে পারা বহু যত ও অভ্যাসের ফল। ফলত নৈতিক শিক্ষা কেবল জ্ঞানলাভের জন্যে অতি প্রয়োজনীয়। যদিও দুর্জন বিদ্যালংকৃত হইতে পারে, তবু দুর্জনের জ্ঞানলাভ প্রায়ই ঘটে না। তাহার কারণ এই যে, জ্ঞানলাভের নিমিত্তে যে সকল যত, অভ্যাস আবশ্যক, তদুপযোগী মনের শান্তভাব দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের থাকে না। তাহারা তীক্ষ্ম বুদ্ধিসম্পন্ন হইতে পারে, কিন্তু ধীর বুদ্ধির হইতে পারে না।
সারাংশ: নৈতিক শিক্ষা লাভের মাধ্যমে সুনীতি এবং দুর্নীতি সম্পর্কে জানতে হবে এবং জীবনে চলার পথে সুনীতিকে বরণ করে দুর্নীতিকে পরিহার করতে হবে। দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি যত জ্ঞানী হোক না কেন তার সঙ্গ অবশ্যই পরিত্যাগ করা উচিত।
আশা করি তোমাদের সারাংশটি বোধগম্য হয়েছে। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে এই পোস্ট এর নিচে কমেন্ট করো।