আজকে আমরা পড়বো “ক্রোধ মানুষের পরম শত্রু” সারাংশটি। সারাংশ পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সারাংশটি তোমাদের ভালোভাবে পড়তে হবে।
ক্রোধ মানুষের পরম শত্রু
ক্রোধ মানুষের পরম শত্রু। ক্রোধ মানুষের মনুষ্যত্ব নাশ করে। যে লোমহর্ষক কাণ্ডগুলো পৃথিবীকে নরকে পরিণত করিয়াছে, তাহার মূলেও রহিয়াছে ক্রোধ। ক্রোধ যে মানুষকে পশুভাবাপন্ন করে, তাহা একবার রুদ্ধ ব্যক্তির মুখের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলেই স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। যে ব্যক্তির মুখখানা সর্বদা হাসিমাখা, তুমি দেবভাবে পরিপূর্ণ মনে কর, দেখিলেই তোমার মনে আনন্দ ধরে না, একবার ক্রোধের সময় সেই মুখখানির দিকে তাকাইও; দেখিবে, সেই স্বর্গের সুষমা আর নাই— নরকাগ্নিতে বিকট রূপ ধারণ করিয়াছে। সমস্ত মুখ কী এক কালিমায় ঢাকিয়া তখন তাহাকে আলিঙ্গন করা দূরে থাকুক, তাহার নিকটে যাইতেও ইচ্ছা হয় না। সুন্দরকে মুহূর্তের মধ্যে কুৎসিত করিতে অন্য কোনো রিপু কোদের ন্যায় কৃতকার্য হয় না।
সারাংশ : মানুষের বড় শত্রু ক্রোধ। কারণ ক্রোধ বা রাগের বশবর্তী হয়ে মানুষ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে নানা অঘটন ঘটিয়ে ফেলে। পৃথিবীতে যত অমানবিক নারকীয় ঘটনা ঘটে তার জন্য মূলত ক্রোধই দায়ী। ক্রোধ মানুষকে নিয়ে যায় পশুর পর্যায়ে।
সারাংশ বিকল্প ১: ক্রোধ মানুষের বড় শত্রু। তা মনুষ্যত্ব অর্জনের পথে বড় বাধা। পৃথিবীতে যত অমানবিক ঘটনা ঘটে তার জন্যে মূলত কোনই দায়ী। মানুষকে পশুত্বের পর্যায়ে নিয়ে যায় ক্রোধ। এর কারণেই মানুষে সৃষ্টি হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্ব।
সারাংশ বিকল্প ২: ক্রোধ মানুষের সর্বাপেক্ষা বড় রিপু। এটা মানুষদের মনুষ্যত্ব হরণ করে তার হাসিমাখা রমণীয় ও কমনীয় মুখখানিকে নরকের কালিমায় ঢেকে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে সুন্দর মুখখানা ধারণ করে এক বিকট রুপ। তখন সে যে কোনো লোমহর্ষক কান্ড ঘটাতে ও দ্বিধাবোধ করে না ।
সারাংশ বিকল্প ৩: পরম শত্রু ক্রোধ মনুষ্যত্ব নষ্ট করে। পৃথিবীতে যত নরকীয় কাণ্ড সংঘটিত হয় তার মূলেও রয়েছে ক্রোধ। ক্রোধ মানুষকে পশুভাবাপন্ন করে এবং স্বর্গীয় সুষমা হতে তাকে বঞিত করে। কাজেই ক্রোধ সংবরণ করার সাধনা করতে হবে।
সারাংশ বিকল্প ৪: ক্রোধ মানুষের পাশবিক শক্তিকে জাগ্রত করে এবং স্বর্গীয় সুষমা থেকে তাকে বঞ্চিত করে। সুন্দরকে মুহূর্তের মধ্যে কু্সিত করতে পারে একমাত্র ক্রোধ। তাই ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত প্রয়ােজন।
আশা করি তোমাদের সারাংশটি বোধগম্য হয়েছে। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে এই পোস্ট এর নিচে কমেন্ট করো।